ঘুর্ণিঝড় মারুথা যাচ্ছে মিয়ানমারে, সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮৮ কিলোমিটার (blogkori.tk)

April 16, 2017

ঘুর্ণিঝড় মারুথা যাচ্ছে মিয়ানমারে, সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮৮ কিলোমিটার


১৬ এপ্রিল ২০১৭,রবিবার, ২০:০৮
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় মারুথা যাচ্ছে মিয়ানমারের দিকে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল মিয়ানমারের সিটই’র স্যান্দোওয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে আজ রাতের মধ্যেই। বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার কোনো সম্ভাবনা নেই। 
মিয়ানমারে আঘাত হানার সময় বাংলাদেশ উপকূলে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। কিছুটা বৃষ্টিও হতে পারে।
মারুথার কারণে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।
ঘূর্নিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি বেগ ঘণ্টায় ৫৪ কিলোমিটার। এটা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপকূল অতিক্রম না করা পর্যন্ত সাগর অত্যন্ত উত্তাল থাকবে।
আজ সন্ধ্যা ৬টায় মারুথা পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল।
আজ সন্ধ্যা ৬টার পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় মারুথা চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বে, কক্সবাজার থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বে, মংলা থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।
আজ বিকেল ৩টা থেকে ঘুর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের দিকে কিছুটা কাছে এগিয়ে এসেছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এটা এ মওসুমের প্রথম ঘুর্ণিঝড় এবং লঘুচাপ থেকে খুব দ্রুত নিম্নচাপ হয়ে গভীর নিম্নচাপের পর্যায় অতিক্রম করে ঘূণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ে রূপান্তরের আগে এটি খুব দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে পারেনি বলে তেমন শক্তি সঞ্চয় করতে পারেনি। এছাড়া ফিলিপাইন সাগরে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। ওই লঘুচাপটি বাতাসের আদ্রতা শোষণ করে নিচ্ছে। ফলে মারুথা তেমন আর্দ্রতা পাচ্ছে না। এ কারণে এটি শক্তিশালী হতে পারেনি।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত নৌযান ও মাছ ধরার ট্রলার সমুহকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

www.blogkori.tk
Powered by Blogger.