সুযোগ দেখছেন হাথুরুসিংহে || blogkori
সুযোগ দেখছেন হাথুরুসিংহে
কার্ডিফের সুখস্মৃতিকে সঙ্গী করে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দল এখন বার্মিংহামে। ১৫ জুন এজবাস্টনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে মাশরাফি মর্তুজারা। রোববার প্রায় পাঁচ ঘণ্টার বাস ভ্রমণ শেষে বার্মিংহামে পৌঁছায় টিম টাইগার্স। ভ্রমণ ক্লান্তি দূর করতে গতকাল বিশ্রামের ঘোষণা দেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। পুরো দিন বিশ্রামে কাটিয়ে আজ নতুন উদ্যোমে অনুশীলন শুরু করবেন তামিম, সাকিব, মাহমুদউল্লাহরা।
তবে বিশ্রামের সুযোগ নেই হাথুরুর। এরই মধ্যে ভারত বধের ছক কষতে শুরু করেছেন তিনি। আর তাতে সেমিফাইনালে শিষ্যদের দারুণ সুযোগ দেখছেন লংকান এ কোচ, ‘২০১৫ বিশ্বকাপে ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছি। এশিয়া কাপের ফাইনাল দারুণ জমেছে। টি২০ বিশ্বকাপে কেবল ২ রানে হেরেছি। এর অর্থ, ওদের বিপক্ষে আমরা ক্রমশ ভালো করছি। আশা করছি, এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারব।’
গ্রুপ পর্বে শ্রীলংকার কাছে হেরেছিল ভারত। সেই ম্যাচ থেকে অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবিরা। তার যুক্তি, ‘চ্যালেঞ্জিং, তবে অসম্ভব কিছু নয়। শ্রীলংকা যদি ভারতকে হারাতে পারে, আমরা কেন পারব না!’
বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের মতো বড় আসরে ভারতকে হারানোর সুখস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। তবে নকআউট পর্বে এগিয়ে ভারত। যার প্রমাণ, গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল। সেই ম্যাচে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল আম্পায়ারদের দুটি বাজে আউটের সিদ্ধান্ত— প্রথমে ভারতীয় ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মাকে নটআউট ঘোষণা, পরে বাংলাদেশ ইনিংসে মাহমুদউল্লাহকে আউট দেয়া। অসংখ্য ক্রিকেটপ্রেমী এখনো মনে করেন, দুটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে দিয়েছিলেন আম্পায়াররা। তাই মেলবোর্নের সেই উত্তাপ যে এবার এজবাস্টনেও রোমাঞ্চ ছড়াবে— সে কথা বলাই বাহুল্য।
শক্তির বিচারে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ভারত। এ পর্যন্ত ৩২ বারের মোকাবেলায় ২৬ জয় ভারতের। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের জয় পাঁচটিতে। আর একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত। তবে শেষ পাঁচ ম্যাচের ‘হেড টু হেড’-এ দুই দলই সমানে সমান। এক ম্যাচ পরিত্যক্তসহ দুই দলের সমান দুটি করে জয়। তাই অতীত নয়, এ মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশকে নিয়েই যত দুশ্চিন্তা ভারতীয় অধিনায়ক কোহলির। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেমির টিকিট নিশ্চিত করার পর তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। বার্মিংহামে আমরা আগেও খেলেছি। ওখানকার উইকেট আমাদের খেলাকে সমর্থন করে। তাই পেছনে তাকানোর সুযোগ নেই।’
সেক্ষেত্রে ভারতের অনুপ্রেরণার রসদ জোগাচ্ছে এজবাস্টনের অতীত পরিসংখ্যান। ইংল্যান্ডের এ মাঠে এখনো জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ২ উইকেটে হেরে যায় টাইগাররা। তামিম ইকবালের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে তিনশোর্ধ্ব রান করেও জিততে পারেনি মাশরাফি ব্রিগেড। একই চিত্র আন্তর্জাতিক ম্যাচেও। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণী ম্যাচে ১৪৪ রানে হারে বাংলাদেশ।
কেনিংটন ওভালের অনুশীলন ম্যাচে বাংলাদেশ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ভারতীয় অফস্পিনার রবিচন্দন অশ্বিন। কিন্তু তখন সেই ভবিষ্যদ্বাণী পাত্তাই দেননি তার সতীর্থরা। এ প্রসঙ্গে অশ্বিনের ভাষ্য, ‘প্র্যাকটিস ম্যাচের সময় ড্রেসিংরুমে বলেছিলাম, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সেমিফাইনালে দেখা হতে পারে। ড্রেসিংরুমে আমার বন্ধুরা কথাটা হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু দেখেন, এখন তারাই (বাংলাদেশ) সেমিফাইনালে!’
www.blogkori.tk